শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৬:০৪ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় সাক্ষিরা আদালতে হাজির না হওয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন পিছিয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে এ তথ্য জানান কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম।
রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী জানান, মামলার ধার্য দিনে সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথমদিন জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে উপস্থিত থাকতে বাদীসহ ৭ জনকে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কারাগার থেকে আসামিদের নির্দিষ্ট সময়ে আদালতে আনা হলেও সাক্ষিরা উপস্থিত হননি। এতে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি।
ফরিদুল বলেন, আলোচিত রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের মঙ্গলবার ধার্য দিন ছিল। সকালে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মামলার ১৪ আসামিকে আদালতে আনা হয়। কিন্তু দুপুর ২ টা পর্যন্ত মামলার বাদীসহ নোটিশ প্রাপ্ত ৭ জনের কোন সাক্ষি আদালতে উপস্থিত হননি। এতে সাক্ষ্যগ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। বিচারক সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে পরবর্তী দিন ধার্য করবেন।
মিয়ানমার থেকে বাস্ত্যচুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের নিজদেশে প্রত্যাবাসনের জন্য জোরালোভাবে ভূমিকা পালনকারী আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস এ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার কুতুপালংয়ের লম্বাশিয়া ১-ইস্ট নম্বর ক্যাম্পের ডি ব্লকে নিজ সংগঠনের কার্যালয়ে মুখোশধারী বন্দুকদারিদের গুলিতে নিহত হন। তার এ মৃত্যুর ঘটনা দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়।
মামলার নথির বরাতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদ জানান, হত্যাকান্ডের পরদিন মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে উখিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ সাড়ে আট মাস তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা উখিয়া থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী সালাহ উদ্দীন ২৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল
করেন।
সাতজনের নাম ঠিকানা সঠিক পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য আবেদন জানান তদন্তকারি কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে ৩৮ জনের নাম ও ঠিকানা সাক্ষীর তালিকায় রয়েছে।
আদালত শুনানী শেষে ১১ সেপ্টেম্বর ২৯ জন আসামীর বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করেন। ওইদিন আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১১ অক্টোবর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
বর্তমানে মুহিবুল্লাহ’র পরিবারের ২৫ জন সদস্য কানাডায় বসবাস করছেন। প্রথম দফায় ৩১ মার্চ স্ত্রীসহ ১১ জন এবং দ্বিতীয় দফায় ২৫ সেপ্টেম্বর ১৪ জন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে কানাডা পাড়ি জমান জাতিসংঘের শরনার্থী বিষয়ক সংস্থার সহায়তায়।
তবে মামলার বাদী মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বর্তমানে কড়া নিরাপত্তায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান করছেন।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply